ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হওয়া পর থেকে বৈশ্যমের শিকার হয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবারই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন করে আসতে হচ্ছে, তবুও মিলছে না প্রকৃত সমাধান।
প্রতিবারই শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেওয়ার কথা বললেও দাবীগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। সাত কলেজের সবচেয়ে বড় সমস্যা পরীক্ষা নেয়ার পর দীর্ঘ সময় পরে ফলাফল প্রকাশ। ফলাফল প্রকাশ হলেও একসঙ্গে সব বিভাগের ফলাফল পাওয়া যায় না, ফলে সেশনজট যেনো সাত কলেজের নিত্য সঙ্গী। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরীক্ষার খাতা অবমূল্যায়ন ও গণহারে ফেল।
সর্বশেষ প্রকাশিত, ২০১৫-২০১৬ সেশনের ইংরেজি বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রকাশিত ফলাফলে ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। তিতুমীর কলেজের ২৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৩ জন ফেল, ইডেন মহিলা কলেজের ২১০ জনের মধ্যে ১৭৫ জন ফেল, সরকারি বাংলা কলেজের ১১৬ জনের মধ্যে ৯২ জন ফেল, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন ফেল করেছেন।
একটি বিষয়ে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফলাফল বিপর্যয়কে কোন ভাবেই মেনে নেওয়ার নয়।
শিক্ষার্থীদের যে দাবীগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পুনর্মূল্যায়ণ করা বা দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। সাত কলেজের শিক্ষকদের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা ক্লাস মনিটরিং করা। কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানের ডেক্স চালু করা। পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত সময়ে এবং একই সময়ে সকল বিভাগের ফলাফল প্রকাশ করা।